গণমাধ্যম কাকে বলে?

গণমাধ্যমে বলতে কি বুঝায়?

আজকের বিশ্বসমাজ তথা পৃথিবী কোন কাকতালীয়ভাবে জন্ম নেয় নি। কালের আবর্তে মানুষ এবং মানসিক চেতনা সনাতন সমাজকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। এ মানসিক চেতনা বিভিন্ন দিক থেকে এসেছে। যেমন- বৈজ্ঞানিক চেতনা, সাংস্কৃতিক চেতনা, সাংবাদিক চেতনা, সর্বোপরি রেনেসা চেতনাসহ আরাে অনেক কিছু। আর বিজ্ঞান, সাংস্কৃতিক, সংবাদ এগুলাে সবই গণমাধ্যমের উপাদান। এ মাধ্যমের মাধ্যমে দেশে সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে।

গণমাধ্যমে কি
গণমাধ্যম হলাে ব্যাপক জনগােষ্ঠীকে কোনকিছু জানানাে অথবা তাদের দাবি, মনােভাব,কোন নীতির প্রতি তাদের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে অবহিত হওয়ার মাধ্যমে। অন্যভাবে বলা যায়, যে মাধ্যমের সাহায্যে সমাজের অধিক সংখ্যক জনগােষ্ঠীর মধ্যে নতুন তথ্যচিন্তা, মনােভাব ও প্রত্যাশা সঞ্চার করা যায় তাই গণমাধ্যম। 

Oxford Learners English Dictiomary' তে উল্লেখ আছে, "The means of communicating with large number of people." 

বিশ শতকের শেষ দিকে গণমাধ্যমকে প্রধান ৮টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। সেগুলো হলো - বই, সংবাদপত্র, সাময়িকী, ধারণ যন্ত্র, রেডিও, সিনেমা, টেলিভিশন এবং ইন্টারনেট। বিশ শতকের শেষ এবং ২১ শতকের শুরুতে গণমাধ্যমের প্রকারভেদ নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, গণমাধ্যমের বিভাজন সুস্পষ্টভাবে আরও বৃদ্ধি পাবে। ইতোমধ্যেই সেল ফোন, ভিডিও গেম এবং কম্পিউটার গেমসকে গণমাধ্যম হিসেবে উপস্থাপনা করায় বিতর্ক চলছে।

পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে, গণমাধ্যম হলাে একটি রাষ্ট্রের সকল স্তরের জনগণের মাঝে সকল পর্যায়ের যােগাযােগ, ভাব, অনুভূতির আদান-প্রদান, তথ্য উপাত্ত ও সংবাদাদাদির আদান-প্রদান প্রভৃতি বিষয়ে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে যে মাধ্যমের দ্বারা অর্জিত হয় তাই গণমাধ্যম বা Mass media
Next Post Previous Post
2 Comments
  • Admin
    Admin ১৫ মে

    Helpful article..

  • Rabbil
    Rabbil ১৮ মে

    জনগনের ব্যবহার যোগ্য মাধ্যম

Add Comment
comment url