ড্রোন কাকে বলে? ড্রোনের ইতিহাস এবং ড্রোন কীভাবে কাজ করে? বিস্তারিত পড়ুন।

ড্রোন কী

ড্রোন (DRONE) শব্দের আভিধানিক অর্থ গুঞ্জন। এর চলার শব্দের সাথে মৌমাছির গুঞ্জনের মিল থাকার কারণেই এর এই নামকরণ। ড্রোন অফিসিয়ালভাবে UAV অর্থাৎ Unmanned Aerial Vehicle নামে পরিচিত। আক্ষরিক অর্থ যাই হোক, ড্রোন বলতে এমন এক ধরনের বিমানকে বোঝানো হয়, যে বিমানে কোনো পাইলট থাকে না। অর্থাৎ আমরা ড্রোনকে পাইলটবিহীন বিমান বলতে পারি।

ড্রোনের ইতিহাস

১৯১৬ সালে স্যার নিকোলাস টেসলা প্রথম পাইলট বিহীন এয়ারক্রাফটের ধারণা দেন। আর তার সূত্র ধরেই প্রথম ড্রোন চালু করা হয় ১৯১৭ সালে। যা ব্রিটেন ও যুক্তরাষ্ট্র প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহার করে। ব্রিটেনের ড্রোনটি ছিল রেডিও দ্বারা পরিচালিত এবং মার্চ ১৯১৭ তা চালু হয়। অপরদিকে আমেরিকার 'কেটারিং বাগ" নামে ড্রোনটি প্রথম আকাশে উড়াল দেয় অক্টোবর ১৯১৮। উভয় ড্রোনই প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তাদের ক্ষমতার যথাযথ পরিচয় দেয়। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলে প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মাঝখানের সময়টাতে ড্রোনকে আরও বেশি কার্যকর বানানোর কাজ চলতে থাকে। তবে অতি কার্যকর ড্রোনগুলোর প্রথম ব্যবহার করা হয় ভিয়েতনাম যুদ্ধে। এরপর তা আস্তে আস্তে বিভিন্ন যুদ্ধে ব্যবহার শুরু হয়।

ড্রোন কীভাবে কাজ করে

যেকোনো ড্রোন মূলত, UAV সিস্টেমে কাজ করে। এর আবার দুইটি প্রকারভেদ রয়েছে। 

 ১. সাধারণ UAV 

২. এবং সামরিক UAV 

সাধারণ UAV গুলোতে মূলত, একটি ক্যামেরা, পাখা এবং কিছু সংখ্যক সেন্সর থাকে, যা পথ দেখিয়ে সঠিকভাবে চলতে সাহায্য করে। অন্যদিকে, সামরিক UAV তে ককপিট, স্পাই ক্যামেরা, লেজার, জিপিএস, সেন্সর, লাইটিং সেন্সর ইত্যাদি থাকে। তবে UAV সাধারণ হোক আর সামরিক হোক তা অবশ্যই রিমোটের সাহায্যে পরিচালনা করতে হয়। আব্রাহাম কারেমকে UAV প্রযুক্তির জনক বলা হয়।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url