অভিবাসী কারা? অভিবাসী কাকে বলে?
অভিবাসী
অভিবাসী কাকে বলে?
খুব সাধারণ ভাষায় বলা যায় যে, অভিবাসী হলো তারা যারা উন্নত জীবন ও জীবিকার তাগিদে নিজ দেশ থেকে অন্য দেশে পাড়ি জমান। বাংলাদেশেরই অনেক নাগরিক শিক্ষার্থী, ডাক্তার, শিক্ষক প্রভৃতিকে পেশা হিসেবে নিয়ে বিদেশে তারা অভিবাসী হচ্ছে।
অভিবাসী কারা
অভিবাসী কারা তা সুস্পষ্ট ও নিশ্চিত করার জন্য জাতিসংঘ ১৯৮২ সালে অভিবাসন অধ্যাদেশ প্রণয়ন করে যার ১(৬) নং ধারা অনুযায়ী “যিনি স্বীয় দেশ ত্যাগ করে বাইরে থাকেন বা যিনি অন্য কাউকে দেশের বাইরে যাওয়ার জন্য সহায়তা করেন বা যিনি দেশের বাইরে যান, তারা অভিবাসী হিসেবে পরিচিত। অভিবাসী ব্যক্তির পোষ্যও অভিবাসী হিসেবে বিবেচিত হবে।”
অভিবাসন কি
অভিবাসন কী তার সংজ্ঞায়ন করতে গিয়ে এ আইনের ধারাতে ২(চ) বলা হয়েছে, জল, স্থল বা বিমানপথে মজুরির বিনিময়ে কাজ করার জন্য বা কোনো ব্যবস্থায় বা পেশায় নিযুক্ত হওয়ার জন্য বাংলাদেশের সীমানায় বাইরে অবস্থান করাকে অভিবাসন বলে।
William H. Bairehops এর মতে, "Emigrant are those distressed people who leave their country for the better living standard to another developed country for refugee settlement."
একবিংশ শতাব্দীতে বিশ্ব প্রেক্ষাপট পরিবর্তনের সাথে সাথে অভিবাসী শব্দের অর্থও ভিন্ন মাত্রা যোগ হয়েছে। বর্তমানে এশিয়া ও আফ্রিকার দরিদ্র জনগোষ্ঠী বিশেষ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের জনগণ ভয়াবহ সমুদ্রের প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে জীবনের নিরাপত্তা বা কাজের সুষ্ঠু পরিবেশের নিশ্চয়তার জন্য অন্য দেশে অভিবাসন প্রত্যাশী হিসেবে পাড়ি জমাচ্ছে। তা থেকে বলা যায় যে, মানুষ তার নিজ আবাসভূমিতে নিজেকে অসহায় ভাবায় নিজেকে অভিবাসী হিসেবে বিদেশের মাটিতে সমর্পণ করে।
অভিবাসন হলো একটি আইনী প্রক্রিয়া। আবার অনেকে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনার মাধ্যমে অন্যদেশে অভিবাসী হতে পারে। অর্থাৎ আইনানুগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিজ দেশ ছেড়ে যারা অন্য দেশে বসবাস করে তাদের অভিবাসী বলা হয়।
পরিশেষে বলা যায় যে, বর্তমান বিশ্ব রাজনীতিতে অভিবাসন সমস্যা একটি প্রধান ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। অনেকে অভিবাসন ও শরণার্থীকে একত্র করে ফেলেছে। তাই অভিবাসী শব্দের সঠিক অর্থ জানতে হবে। সুতরাং নিজ দেশের অনুমতি পত্র গ্রহণ বা আইনসঙ্গতভাবে অন্য দেশে গিয়ে বৈধভাবে বসবাসকারীদের বলে অভিবাসী ।