রাষ্ট্রচিন্তার উদ্ভব ও বিকাশ সম্পর্কে লিখ।

প্রশ্নটি আরো যেভাবে হতে পারে

রাষ্ট্রচিন্তার উদ্ভব হয় কীভাবে?
রাষ্ট্রচিন্তার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ সম্পর্কে লিখ।
রাষ্ট্রচিন্তার উদ্ভব ও বিকাশ সম্পর্কে আলোচনা কর।
রাষ্ট্রচিন্তার উৎপত্তি ও বিকাশ সম্পর্কে ধারণা দাও।

ভূমিকা: মানুষ সামাজিক জীব বলে প্রতিটি মানুষ সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানে সংযুক্ত থেকে জীবনাচরণ পরিচালনা করে। আর মানুষ তার জীবনে যে প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বেশি যুক্ত থাকে সেটি হলো রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে যে চিন্তাচেতনা ও ধ্যানধারণা পোষণ করে তাই রাষ্ট্রচিন্তা । রাষ্ট্রচিন্তার উৎপত্তি ও বিকাশ সেই প্রাচীনকাল থেকে। কালের বিবর্তনে রাষ্ট্রের সম্পর্কে চিন্তার ক্রম পরিবর্তন এসেছে।

রাষ্ট্রচিন্তার উদ্ভব ও বিকাশ : সাধারণত যে কোনো দার্শনিক চিন্তাধারা কালের বিবর্তন অনুযায়ী আলোচিত হয়ে থাকে। কালের পরিক্রমায় এর উদ্ভব ও বিকাশ ঘটে বলে দার্শনিকগণ অনুরূপ পদ্ধতিতে আলোচনার পক্ষপাতী। তাই কালের বিভাজন অনুসারে রাষ্ট্রচিন্তার দার্শনিকগণ রাষ্ট্রচিন্তার ইতিহাসকে দুই ভাবে প্রকাশ করার প্রয়াস পেয়েছেন। যথা :

ক. প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তা, খ. পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা।

ক. প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তা : ভারতীয়, মিশরীয়, ব্যাবিলনীয়, এসিরীয় পারস্য এলাকার রাষ্ট্রচিন্তা মূলত প্রাচ্যের রাষ্ট্রচিন্তা হিসেবে পরিচিত। এসব অঞ্চলে রাষ্ট্রচিন্তা রাজনৈতিক চিন্তায় স্থান পেয়েছে।

খ. পাশ্চাত্যের রাষ্ট্রচিন্তা : পাশ্চাত্য অঞ্চলের রাষ্ট্রচিন্তা হলো। গ্রিক, রোম, ইতালি ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশসমূহের রাষ্ট্রচিন্ত াকে বুঝায়। মূলত পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তাকে ইউরোপীয় রাষ্ট্রচিন্তা নামে অভিহিত করা হয়। প্রাচীনকাল থেকেই পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তার উদ্ভব। পাশ্চাত্য রাষ্ট্রচিন্তাকে ৩ ভাগে ভাগ করা যায়। যথা : ১. প্রাচীন যুগ, ২. মধ্যযুগ ও ৩. আধুনিক যুগ।

পরিশেষে বলা যায় যে, যুগে যুগে রাষ্ট্রচিন্তার বিবর্তন ঘটেছে কালের বিবর্তনের সাথে সাথে। প্রাচীনকাল হতে শুরু হয়ে মধ্যযুগ পেরিয়ে আধুনিক যুগে এসে রাষ্ট্রচিন্তা একটি পরিপূর্ণ রূপ লাভ করেছে। আর রাষ্ট্রচিন্তার যে বিশাল অবয়ব বর্তমানে লক্ষ করা যায় তা অনেক সময় পার হয়ে আজ এই অবস্থায় উপনীত হয়েছে, আর এর পিছনে রয়েছে বহু মনীষীর ত্যাগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url