সাম্প্রতিক কালের রাষ্ট্রচিন্তা বলতে কী বুঝ?
সমকালীন রাষ্ট্রদর্শন সম্পর্কে যা জান লিখ।
সমকালীন রাষ্ট্রচিন্তা সম্পর্কে লিখ।
সমকালীন রাষ্ট্রচিন্তা সম্পর্কে লিখ।
রাষ্ট্রদর্শন হলো মানবসমাজ, রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের প্রকৃতি, উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি সম্পর্কিত মতবাদ। এর উপর ভিত্তি করে রাষ্ট্রীয় কাঠামো নির্ধারণ করা হয়। বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন দার্শনিক রাষ্ট্রদর্শন সম্পর্কে মতবাদ ব্যক্ত করেছেন। তবে সমকালীন রাষ্ট্রদর্শন হলো ১৮৩১ সালের পরবর্তী সময়কার রাষ্ট্রচিন্তাকে বুঝায়।
সাম্প্রতিক কালের রাষ্ট্রচিন্তা
সাম্প্রতিক কালের রাষ্ট্রদর্শন বলতে ১৮৩১ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত রাষ্ট্র সম্পর্কিত মতবাদকে বুঝায়। সম্প্রতিকালে পূর্বের রাষ্ট্রদর্শন সম্পর্কিত মতবাদ অনেকটা পরিবর্তিত হয়েছে। হার্বাট স্পেনসার রাষ্ট্রদর্শনকে বিজ্ঞানসম্মত করে তোলার জন্য বিবর্তনবাদ ও ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদের প্রবর্তন করেন। কান্ট তাঁর রাষ্ট্রদর্শনে শান্তিশৃঙ্খলার কথা তুলে ধরেছেন। নিয়ন্ত্রিত ও পরিকল্পিত রাষ্ট্রের প্রবক্তা হিসেবে যাদের নাম স্মরণীয় হয়ে আছে তারা হলেন- হেগেল ও ফিকটে।
হুবোল্ড স্বায়ত্তশাসিত রাষ্ট্রের ধারণা দেন। হেগেল ব্যক্তি ও রাষ্ট্রের যন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করে একটি শক্তিশালী ঐতিহাসিক রাষ্ট্রদর্শনের ভিত্তি স্থাপন করেন। হেগেলের দ্বান্দ্বিক পদ্ধতি জার্মানিতে জাতীয়তাবাদের সূচনা করে। এ সময় কার্ল মার্কস হেগেলের দ্বান্দ্বিক পদ্ধতি থেকে প্রেরণা নিয়ে সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন। যার মূল লক্ষ্য ছিল শ্রেণিবৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।
সমাজ রাষ্ট্রের প্রবক্তা হিসেবে যার নাম স্মরণীয় হয়ে আছে তিনি হলেন ব্রাডলে। টি. এইচ. গ্রীন বলেন, “শক্তিই নয়, ইচ্ছাই রাষ্ট্রের ভিত্তি।” এভাবে বিশ্ব দ্রুত এগিয়ে চলে। সাম্প্রতিককালে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার জোয়ার রয়েছে সারা বিশ্বে। মানবসমাজের কথা ভেবে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে বিশ্ব আজ আন্ত জাতিক ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ।
পরিশেষে বলা যায় যে, সাম্প্রতিক কালের রাষ্ট্রদর্শন, বিশ্বের রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে। মানুষের সাম্প্রদায়িক ধ্যানধারণাকে পরিবর্তন করে উন্নত মনমানসিকতা পড়ে তুলতে সহায়তা করেছে।
যার ফলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের মাধ্যমে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। বিশ্বমানবতা প্রতিষ্ঠায় সমকালীন রাষ্ট্রদর্শন সুদুরপ্রসারী ভূমিকা পালন করছে।
Nice Post