ছায়া সরকার কি? বিকল্প সরকার কাকে বলে?
সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় ছায়া সরকার কথাটি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় সরকারের যে মন্ত্রী পরিষদ থাকে তাদের বিভিন্ন কর্মকান্ডের মনিটরিং করে বিরোধীদল। সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় ছায়া সরকার সরকারের বিভিন্ন দোষ ত্রুটি খুঁজে বের করে সরকারকে সংশোধনের সুযোগ করে দেয়।
সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় সরকারদলীয় বিভিন্ন প্রকার নীতি বর্জিত সিদ্ধান্ত, রাষ্ট্রের ক্ষতিকর সিদ্ধান্ত কিংবা রাজনৈতিক অধিকার হরণ অথবা বৈদেশিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে দেশের ক্ষতিসাধন ইত্যাদির বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলো একটি সাংগঠনিক কাঠামোর মাধ্যম থেকে সমালোচনা তথা সরকারকে এ সকল কাজ থেকে বিরত রাখে তাকে ছায়া সরকার বলে। নিচে ছায়া সরকার কি তা আলোচনা করা হলো:
ছায়া সরকার কি
গণতান্ত্রিক তথা সংসদীয় শাসনব্যবস্থায় ছায়া সরকার গঠিত হয়ে থাকে। সাধারণত দেখা যায় নির্বাচনে পরাজিত দলগুলো বা দল সরকার এর বিভিন্ন দোষ ত্রুটি খোঁজার জন্য কিছু সৎ এবং যোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়ে একটি ছায়া সরকার গঠন করে থাকে। তারা সরকারের বিভিন্ন অযৌক্তিক বা বিভ্রান্তিক কর্মকাণ্ডের কঠোর সমালোচনা করে থাকেন। এখানে একটা বিষয় লক্ষ্যনীয় যে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা অস্থিতিশীল। যেকোনো সময় আইন সভা ভোটাভুটির মাধ্যমে সরকার ক্ষমতা হারাতে পারে এবং বিকল্প বা ছায়া সরকার হিসেবে বিরোধী দল ক্ষমতা গ্রহণের সুযোগ লাভ করতে পারে। সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় বিরোধীদলকে বিকল্প সরকার বা ছায়া সরকার বলা হয়। উদাহরণ: ব্রিটেনে বিরোধী দলীয় ছায়া মন্ত্রীসভা রয়েছে।
সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে ছায়া সরকারের বিকল্প কিছু নেই। ছায়া সরকারি একটি দেশের সরকার তথা শাসনব্যবস্থাকে স্বৈরাচারী হতে বাধা দেয়। ছায়া সরকার দেশের জনগণের বাক স্বাধীনতা, রাজনীতিক স্বাধীনতা, এবং নাগরিক নিরাপত্তা ইত্যাদি রক্ষার্থে কাজ করে থাকে। তাই যে কোন দেশের সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় ছায়া সরকার প্রদীপ স্বরুপ।
পরিশেষে বলা যায় যে, সংসদীয় শাসন ব্যবস্থায় সরকারকে কার্যকর করতে অবশ্যই ছায়া সরকার থাকা প্রয়োজন। ছায়া সরকার সরকারের স্বৈরাচারিতা রোধ করে। তাই সংসদে শাসন ব্যবস্থা ছায়া সরকার বা বিকল্প সরকার থাকায় প্রয়োজন।