তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা কি?
তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা
তিতুমীর তার যুদ্ধের অভিজ্ঞতা থেকে বুঝতে পারেন যে, ইংরেজ সরকারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হলে প্রয়োজন সমর প্রস্তুতি ও উপযুক্ত সেনা প্রশিক্ষণ। সেনাবাহিনীর আত্মরক্ষার প্রয়োজনে তিনি একটি দুর্গ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা গভীরভাবে অনুভব করেন। সময় এবং অর্থাভাবে তিনি কলিকাতার নিকটবর্তী নারিকেলবাড়িয়া নামক স্থানে একটি বাঁশের কেল্লা' বা দুর্গ নির্মাণ করেন। ইতিহাসে এই কেল্লাই 'নারিকেল বাড়িয়ার বাঁশের কেল্লা নামে বিখ্যাত। তাঁর প্রিয় সহচর গোলাম মাসুদ ও মিসকিন শাহের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে প্রায় তিরাশি হাজার অকুতোভয় কৃষকসেনা। ইস্ট ইণ্ডিয়া কোম্পানির সরকার তিতুমীরকে দমন করার জন্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল স্টুয়ার্টের নেতৃত্বে ১৮৩১ সালের নভেম্বর মাসে একদল সুসজ্জিত বাহিনী প্রেরণ করে। কর্নেল স্টুয়ার্টের আধুনিক মারণাস্ত্র সজ্জিত বাহিনী বাঁশের কেল্লা আক্রমণ করলে তিতুমীর অসীম সাহসের সাথে তা মোকাবিলা করেন। এ অসম যুদ্ধে তিতুমীরের কৃষকসেনারা পরাজিত হয় এবং তিতুমীর এ যুদ্ধে শহীদ হন। তিতুমীরের বিশ্বস্ত অনুচর গোলাম মাসুমসহ অনেকেই ফাঁসি এবং বড় রকমের শাস্তি প্রদান করা হয়।