রাষ্ট্রচিন্তা কী? অথবা, রাষ্ট্রচিন্তার সংজ্ঞা দাও।

সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নমূলক গবেষণা হলো রাষ্ট্রচিন্তা। রাষ্ট্র ও সমাজকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা হলো রাষ্ট্রচিন্তা মূল উদ্দেশ্য। সমাজ ও রাষ্ট্রের বিদ্যমান সমস্যা দূরীকরণে রাষ্ট্রচিন্তা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে থাকে। যা মানবজাতিকে পরিচ্ছন্ন জীবনযাপনের ইঙ্গিত দিয়ে থাকে।

রাষ্ট্রচিন্তা : বিভিন্ন মনীষী বিভিন্ন সময়ে সমাজ, রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের প্রকৃতি, উদ্দেশ্য ও কার্যাবলি সম্পর্কে যে মতবাদ প্রদান করেছেন তাকে রাষ্ট্রদর্শন বলে। অর্থাৎ, রাষ্ট্রদর্শন রাষ্ট্রের কাঠামো ও শাসনব্যবস্থাকে নির্দেশ করে। তাই রাষ্ট্র সম্পর্কিত মূল্যবান দার্শনিক চিন্তাকে রাষ্ট্রদর্শন বলা হয়।

নিম্নে বিভিন্ন মনীষী রাষ্ট্রচিন্তা সম্পর্কিত মতবাদগুলো উপস্থাপন করা হলো :

অধ্যাপক ওয়েবার বলেন, “রাষ্ট্রদর্শন বলতে বুঝায় সেই দর্শন যা রাষ্ট্রের গঠন, প্রকৃতি ও উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা করে।" অধ্যাপক হেরম্যান বলেন, “রাষ্ট্রদর্শন রাষ্ট্রের স্থিতিশীল পর্যায়গুলো নিয়ে আলোচনা করে।”

ভি. ডি. মহাজন এর মতে, “রাষ্ট্রদর্শন এমন একটি যৌক্তিক বিশ্লেষণ, যা রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার রাজনৈতিক কার্যাবলি ও ব্যাখ্যাদানকারী কর্তৃক প্রকাশিত হয়।”

অধ্যাপক ফিলিপ ডোয়েল বলেন, “রাষ্ট্রদর্শনের বিষয়বস্তু প্রধানত তিনটি ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। যথা : মানব প্রকৃতি ও তার কার্যকলাপ, জীবনের সমগ্র অনুভূতির জন্য পৃথিবীর অপরাপর বিষয়ের সাথে মানুষের সম্পর্ক এবং সমাজের পারস্পরিক সম্পর্ক।" 

অর্থাৎ, রাষ্ট্রদর্শন হলো রাষ্ট্রের সামগ্রিক চিন্তাভাবনা ও রাষ্ট্রপরিচালনার বিষয় নিয়ে আলোচনা করে।

পরিশেষে বলা যায় যে, রাষ্ট্রদর্শন রাষ্ট্রকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা সম্পর্কে আলোচনা করে। যা একটি সুন্দর রাষ্ট্রের ভিত তৈরিতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এর মাধ্যমে আমরা রাষ্ট্রীয় জীবন সম্পর্কে জানতে পারি।

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url