অর্থনৈতিক কূটনীতি বলতে কী বোঝায়?

বর্তমান বিশ্ব রাজনীতি এক জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। এ পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পাবার একমাত্র উপায় হলো সকল রাষ্ট্রের সম্মিলিত কূটনৈতিক প্রচেষ্টা। বিশ্বায়ন ও মুক্তবাজারের এ যুগে কূটনীতি পরিণত হয়েছে অর্থনৈতিক কূটনীতিতে। বস্তুত বাণিজ্যিক বিষয়াদিতে কূটনীতিকগণ জড়িয়ে পড়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।


অর্থনৈতিকক কূটনীতি কি

অর্থনৈতিক কূটনীতি বলতে আমরা বুঝি অর্থনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য বিভিন্ন রাষ্ট্র ও সরকারের মধ্যে প্রচলিত বিশেষজ্ঞগণ কর্তৃক পরিচালিত কলাকৌশল। 

অর্থনৈতিক কূটনীতি বৈদেশিক নীতির সেই অংশ, যেখানে প্রত্যেক দেশ নিজ দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ বিবেচনা করে। অর্থনৈতিক কূটনীতিতে বাণিজ্যিক দূতগণই অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক চুক্তির মাধ্যমে অর্থনৈতিক কূটনীতির প্রকাশ ঘটে।

অর্থনৈতিক কূটনীতিকে সংজ্ঞায়িত করতে গিয়ে ড. রবিউল ইসলাম ও আব্দুল মালেক বলেন, “যে কূটনীতি দেশের অর্থনৈতিক চাহিদা পূরণোত্তর উদ্বৃত্ত অর্থনৈতিক সম্পদকে অর্থনৈতিক মুনাফা ও প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে নিজেদেরকে নিয়োজিত রাখে তাকে অর্থনৈতিক কূটনীতি বলে।”

ড. এম. এ মান্নানের মতে, “অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সুবিধা অর্জনের উদ্দেশ্যে পরিচালিত যে কূটনৈতিক ব্যবস্থা সেটাকে আমরা অর্থনৈতিক কূটনীতি বলে আখ্যায়িত করতে পার।"

ভারনন ভ্যান ডাইক এর মতে, “বিশ্বায়ন ও মুক্ত বাজার অর্থনীতির বিকাশের যুগে কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সুবিধা প্রাপ্ত হলো অর্থনৈতিক কূটনীতি।”

উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, অর্থনৈতিক কূটনীতি বলতে আমরা বুঝি কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে অর্থনৈতিক সুবিধা অর্জন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url