ডোপ টেস্ট কী?

ডোপ টেস্ট কাকে বলে?

কোনো ব্যক্তির শরীরের অভ্যন্তরে মাদকদ্রব্যের উপস্থিতি আছে কিনা তা বিশেষভাবে পরীক্ষা করার প্রক্রিয়াকে বলা হয় ডোপ টেস্ট। মাদক বা অ্যালকোহল জাতীয় কিছু কিছু নেশাকর পণ্য আছে যার রেশ শরীরে থেকে যায়। এগুলোই ডোপ টেস্টের মাধ্যমে ধরা হয়। ডোপ টেস্টে রক্ত, মূত্র, লালা বা থুথু, চুল, নিঃশ্বাস পরীক্ষার মাধ্যমে মাদক শনাক্ত করা যায়। ডোপ টেস্টে সর্বোচ্চ শেষ ১ সপ্তাহ মুখের লালার মাধ্যমে, শেষ ২ মাস রক্তের মাধ্যমে, শেষ ১২ মাস বা ১ বছরে চুল পরীক্ষার মাধ্যমে পাওয়া যাবে। 

এছাড়া ডোপ টেস্টে স্পাইনাল ফ্লুইড পরীক্ষার মাধ্যমে গত পাঁচ বছরের মধ্যে যদি কেউ মাদক গ্রহণ করে তবে তা ধরা পড়বে। সরকারি চাকরিতে প্রবেশে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে এখন থেকে ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক করার উদ্যোগ নেয় সরকার। বাংলাদেশে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (DNC)-এর প্রণীত খসড়া অনুযায়ী, ডোপ টেস্টে নির্দিষ্ট কিছু মাদক পরীক্ষা করা হয়। যেমন— ডায়াজেপাম, লোরাজেপাম, অক্সাজেপাম, টেমাজেপাম, কোডিন, মরফিন, হেরোইন, কোকেন, গাজা, ভাং, চরস, অ্যালকোহল বা ফেনিসিডিল, ইয়াবা ও এলএসডি।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url