টেলিকনফারেন্সিং বলতে কী বোঝায়? এর সুবিধা-অসুবিধা

টেলিকনফারেন্সিং বলতে একটি লাইভ, ইন্টারেক্টিভ অডিও কিংবা অডিও-ভিজ্যুয়াল মিটিং কে বোঝায়। যা ভৌগলিকভাবে দূরত্বে থাকা বিভিন্ন ব্যক্তিদের মাঝে হয়ে থাকে। এখানে অংশগ্রহণকারীরা ট্যাব, মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কম্পিউটার এবং এমনকি বিশেষভাবে ডিজাইন করা প্রযুক্তি-সক্ষম মিটিং রুম ব্যবহার করে টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের মাধ্যমে যোগাযোগ করে।


টেলিযোগাযোগের মাধ্যমে মিটিং অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াকে বলা হয় টেলিকনফারেন্সিং। বিশ্বের যেকোনো জায়গা থেকে যেকোনো ব্যক্তিই টেলিফোন মাধ্যম ব্যবহার করে টেলিকনফারেন্স করতে পারে। এই ব্যবস্থায় মিটিং এ অংশগ্রহণকারী কিবোর্ডের মাধ্যমে কেন্দ্রিয় কম্পিউটারে তাদের বক্তব্য বা জবাব পাঠায়। 

টেলিকনফারেন্সিং কত প্রকার

টেলিকনফারেন্সিং তিন প্রকার। যথা: 

  • পাবলিক কনফারেন্স
  • ক্লোজড কনফারেন্স
  • রিড অনলি কনফারেন্স

পাবলিক কনফারেন্স

পাবলিক কনফারেন্স সবার জন্য মুক্ত। যে কোনো ব্যক্তি এই ধরনের কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করতে পারেন।


ক্লোজড কনফারেন্স 

ক্লোজড কনফারেন্স সকলের জন্য উন্মুক্ত নয় এবং পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত।

রিড অনলি কনফারেন্স 

শুধুমাত্র নির্দিষ্ট ব্যক্তি এতে অংশগ্রহণ করতে পারেন। টেলিকনফারেন্সিং সফটওয়্যার ব্যবস্থার মাধ্যমে এগুলো নিয়ন্ত্রিত হয়।

টেলিকনফারেন্সিং এর সুবিধা

টেলিকনফারেন্সিং এর যেসকল সুবিধা আছে সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো –

  • বিশ্বের যেকোন প্রান্তে থেকে মিটিং এ অংশগ্রহণ করা যায়।
  •  বাসায় বসেও মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করা যায়।
  • এই কনফারেন্স সকলের জন্য উন্মুক্ত।
  •  ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এটা বেশি ব্যবহৃত হয়।
  • স্ব শরীরে কোন মিটিংয়ে না গিয়েও মিটিং অংশগ্রহণ করা যায়।
  • টেলিকনফারেন্সিং এর এর অন্যতম একটি সুবিধা হল ভ্রমণ ব্যয় ও ভ্রমণ সময় বাঁচানো যায়।
  •  যত লোক অংশগ্রহণ করবে তত ব্যয় কম হয়। 

টেলিকনফারেন্সিং এর অসুবিধা

টেলি কনফারেন্সের বিভিন্ন প্রকার সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও এর নানা প্রকার অসুবিধা বিদ্যমান রয়েছে। নিচে টেলিকনফারেন্সিং এর অসুবিধা গুলো উল্লেখ করা
 হলো: 
 
  • টেলিকনফারেন্স যেহেতু প্রযুক্তি নির্ভর তাই কারিগরি কোন সমস্যা হলে অর্থ, সময়, মেধা ও প্রচেষ্টা সবই ব্যর্থতায় পর্যবেশিত হয়।
  • কম্পিউটার, টেলিফোন, মাইক্রোফোন, মনিটর, ক্যামেরা ইত্যাদি সহ স্টুডিও সংস্থাপন করতে হয় যা পরিচালনা করা ব্যয়বহুল।
  • টেলিকনফারেন্সি পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দক্ষ ও বিশেষজ্ঞ জনশক্তি প্রয়োজন হয়।

শেষকথা

ব্যবসা-বাণিজ্য, দলীয় মিটিং, বিভিন্ন প্রকার কোম্পানির মিটিং করার জন্য বর্তমানে টেলিকনফারেন্সিং এর ব্যবহার ব্যাপক হারে দেখা যায়। যদি ও টেলিকনফারেন্সিং এর দুই-চারটি প্রতিবন্ধকতা আছে। তবু এর উপকারী দিক বেশি থাকায় দিন দিন এই ব্যবস্থা ব্যাপক হারে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। যা আমাদের সময়,শ্রম এবং ব্যয় কমিয়ে দিয়েছে।

অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন 

১. টেলিকনফারেন্সিং এর জনক কে? 

উত্তর: টেলিকনফারেন্সিং এর জনক হলেন মরি টারফের (১৯৭৫)।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url